অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে ইসলাম কি বলে?
আমরা আজকাল অবৈধ সম্পর্ককে খুব সমালোচনা মূলক ভাবে নিয়েছি। ভালো জিনিসে আজ
আমাদের ভীষণ অনীহা। বিবাহের প্রথম রাত জীবনের একাকিত্ব গুছিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করার উত্তম সময়। কিন্তু আমাদের দেহের মিলন ঘটলেও মনের মিলন ঘটে না। ঘটবে কী করে? মনগুলো তো জর্জরিত না পাওয়ার আঘাতে!
সে ভাবে, আজ তাকে অন্য কেউ স্পর্শ করার কথা ছিল। এ বুকে মিশে থাকার কথা ছিল অন্য কারও। কিন্তু সে নেই। যে আছে তাকে সে মন থেকে মেনে নেয়নি। তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমরা যে মানুষটার জন্য অপেক্ষা করছি, সে ছিল অবৈধ। আর যাকে অনাদরে রেখে অবহেলা করছি সে এসেছে বৈধতার আলোকে। শরীয়ত সম্মতভাবে।
যে সম্পর্কগুলোকে আল্লাহ তায়ালা ভালবাসেন। নবিজি শিখিয়েছেন। সালাফগণ আগলে নিয়েছেন।
আর আমরা যে সম্পর্কগুলো আগলে নিয়েছি, সে সব সম্পর্কে কুরআন-হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। নিষেধ করা হয়েছে, বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
কী অদ্ভুত তাই না?
আমরা নিজেদের মুসলিম দাবি করি। সাহাবি, তাবেঈন, সালাফগণ কেউ পূর্ব পরিচিত হয়ে, খুব করে রিলেশন করে বিয়ে করেননি। অথচ আমরা সে সম্পর্কগুলোকে আপন করে, জীবনে আসা বৈধ মানুষটাকে অবহেলা করে, হয়তো হারিয়ে আসা মানুষটার জন্য অপেক্ষা করছি, নয়তো পরকীয়ার মতো ধ্বংসাত্মক এক সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেদের বিলীন করছি।
পারব তো রাসূলুল্লাহর দেখানো পথ ছেড়ে, বিজাতীয় মতের অনুসরণ করে; সুখী হতে অথবা জান্নাত পেতে? উত্তরটা একান্ত আপনার।
অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘তোমরা যেনা তথা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। জেনা তথা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হারাম। (সুরা বনি ইসরাঈল : ৩২)।
যেনার নিকট যাওয়াই নিষেধ। অর্থাৎ যেসব জিনিস যেনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই পাপ। বিবাহ-পূর্ব প্রেম নর-নারীকে যেনার নিকটবর্তী করে দেয়। আর যেনা মারাত্মক একটি কবিরা গুনাহ। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না।‘ (সুরা আল মায়িদা : ৫)।
সুরা নূরের ৩০নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পুরুষদের চোখ নিচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হেফাজত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুরা নুরের ৩১নং আয়াতে নারীদের বেলায়ও পর্দা করার কথা বলা হয়েছে।
সুরা আহজাবের ৫৯নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরও পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নিচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হেফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে। অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার শেষ পরিণতি দুনিয়া ও আখেরাতে অশান্তি। একমাত্র আখেরাতের ভয় ও মহান আল্লাহর নির্দেশনা মেনে চলাই প্রেম প্রতিকারের প্রেসক্রিপশন।
If you have any doubts, Please let me know.